Welcome to my Blog

Sunday, 23 June 2013

Kaliprasanna Singha/ কালীপ্রসন্ন সিংহ

কালীপ্রসন্ন সিংহ
               কালীপ্রসন্ন সিংহ বাংলাদেশের এক ক্ষণজন্মা পুরুষ তাঁর জীবিত কাল মাত্র ত্রিশ এই সল্পকালের মধ্যে বাঙালীর সমাজ সংস্কারে, শিক্ষাবিস্তারে এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে যে-অবদান তিনি রেখে গেছেন তাতে বাঙালী সুধীসমাজে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন তাঁর সময়ে বাংলাদেশে এম কোন আন্দোলন ছিল না যার সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন না তাঁর অন্যতম প্রধান কীর্তি সংস্কৃত পণ্ডিতমণ্ডলীর সহায়তায় সমগ্র মহাভারতের অসংক্ষেপিত অনুবাদ প্রকাশ
             সাহিত্যক্ষেত্রে নেমে পরপর তিনি 'বিদ্যোৎসাহিনী '(১৮৫৬), 'সর্বতত্ত প্রকাশিকা '(১৮৫৭), 'বিবিধার্থ সংগ্রহ ' 'পরিদর্শক '(দৈনিক ) নামে চারখানি পত্রিকা পরিচালনা করেন গ্রন্থ রচনা করতে গিয়ে তিনি 'বাবু নাটক '(প্রহসন -১৮৫৪ ), 'বিক্রমোর্বশী '(১৮৫৭ ), 'সাবিত্রী সত্যবান '(১৮৫৮ ), 'মালতীমাধব '(১৮৫৯) প্রভৃতি নাটক রচনা করেন
               তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি 'হুতোম প্যাঁচার নক্‌সা '(১৮৬২-৬৩ ) 'কলকাতার হাটহদ্দ ' এবং 'বাবুদের দুর্গোৎসব ' নামে দুইটি পুস্তিকাকেও পণ্ডিতেরা তাঁরই রচনা বলে অনুমান করেছেন কারণ এই দুটির বিষয়বস্তু, ভাষা ও রচনারীতি অবিকল 'হতুম প্যাঁচা 'রই অনুরুপ
               'হুতুম প্যাঁচার নক্‌সা ' - আদ্যন্ত কলিকাতার কথ্য ভাষায় রচিত এটা রচনা করে কালীপ্রসন্ন বাংলা ভাষায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেন টেকচাঁদের 'আলালের ঘরের দুলাল ' সহজ ভাষায় লেখা হলেও এর কাঠামোটি সাধুরীতির, ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম অধিকাংশ স্থলে সাধু, কিন্তু 'হুতুম প্যাঁচার নক্‌সা ' আধমিশ্রি চলিত ভাষায় লেখা কিছু উদাহরণ -------
                অমাবস্যার রাত্তির,-- অন্ধকার ঘুটিঘুট্টি -- গুড়গুড় করে মেঘ ডাকছে -- থেকে থেকে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে -- গাছের পাতাটি নড়ছে না -- মাটি থেকে যেন আগুনের তাপ বেরুচ্ছে -- পথিকেরা এক একবার আকাশের পানে চাচ্ছেন -- আর হন হন করে চলছেন "

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comments. Please visit again.